মাদারীপুরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীকে নেশা খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই বখাটে যুবক শিক্ষার্থীটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাত ১১টার দিকে মাদারীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে সদর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার দুপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা দেখানো জন্য যায় ওই শিক্ষার্থী। সদর উপজেলার স্বনির্ভর ছিলারচর গ্রামের আশরাফ সর্দারের ছেলে সজীব সর্দার (২২) কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর পৌর শহরের পুরানবাজার এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়।
আরোও পড়ুন:
ওজন বাড়লে কি শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে?
জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিত্তবান প্রার্থীর ছড়াছড়ি
পরে বিকাল ৫টার দিকে পানীয়র সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে ওই বখাটে শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার ও সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে যায়।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী জানায়, ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা দেখানোর জন্য বিদ্যালয় গেলে বেড়ানোর কথা বলে সজীব তাকে পুরানবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে যায়।
সেখানে অনেক জোরাজরির পর একটি বোতলে পানি খেতে দেয়। আমি সরল বিশ্বাসে পানি খাওয়ার কিছু সময় পরেই অচেতন হয়ে যাই। পরে জ্ঞান ফিরে দেখি প্রচার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর পর আবার অজ্ঞান হয়ে পড়লে রাতে দেখি হাসপাতালের বিছানায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।